অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর কংগ্রেসের অধিবেশনকক্ষে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হাতাহাতি ও চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক নারী সংসদ সদস্য একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি ও চুলোচুলি করছেন।
কক্ষের ভেতরে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে ডানপন্থী ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টি (পিএএন) এবং ক্ষমতাসীন বামঘেঁষা মোরেনা পার্টির নারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। পিএএনের প্রতিনিধিরা অধিবেশনকক্ষের পোডিয়াম থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ সময় মোরেনা পার্টির সদস্যরা তাদের সেখান জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী আইনপ্রণেতা অপর এক সংসদ সদস্যের হাত ধরে টান দেন। এতে দ্বিতীয় নারী দ্রুত হাত ছাড়িয়ে নিয়ে তার পেটে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এর জবাবে প্রথম নারী পেছন থেকে আঘাত করেন এবং পরে তার চুল ধরে টানেন, ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
একজন পুরুষ আইনপ্রণেতা পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন। তবে এর মধ্যেই আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে পোডিয়ামের দিকে ছুটে আসেন। পরে একাধিক নারী আইনপ্রণেতাকে ধাক্কাধাক্কি ও কুস্তিতে জড়াতে দেখা যায়। অন্য সংসদ সদস্যরা নজিরবিহীন এই হট্টগোল মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত একটি আইনের প্রতিবাদে বিরোধী দল ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টির (পিএএন) আইনপ্রণেতারা পোডিয়াম দখল করলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে একে অপরের প্রতি চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতারা অধিবেশনকক্ষেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
ঘটনার পর উভয় দলই সহিংসতার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে। পিএএনের মুখপাত্র আন্দ্রেস আতায়দে বলেন, তার দল শান্তিপূর্ণভাবে পোডিয়াম অবস্থান করছিল এবং কাউকে স্পর্শও করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের মিত্ররা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পোডিয়াম দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
অন্যদিকে, মোরেনা দলের মুখপাত্র পাওলো গার্সিয়া পিএএনের বিরুদ্ধে আলোচনা এড়িয়ে মারামারির পথ বেছে নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো, বিরোধী দল ক্রমাগতভাবে যুক্তির বদলে সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে।
সূত্র: ফক্সনিউজ, এনডিটিভি
