অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদ ‘কব্জায়’ নেয়ার চেষ্টা করছেন–এমন অভিযোগ করে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক-এর সহায়তা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। রোববার (৩০ নভেম্বর) জোটের সদস্যদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টেলিসুর সে চিঠি প্রকাশ করেছে। চিঠিতে মাদুরো লিখেছেন, ‘এই আগ্রাসন বন্ধে আপনাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আশা করছি। এটি দ্রুত বাড়ছে এবং উৎপাদনকারী ও ভোক্তা—উভয় দেশের জন্য আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্যকে বিপদের মুখে ফেলছে।’ মাদুরো আরও জানান, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ড, জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক সামরিক শক্তির ব্যবহার’ নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওপেক ও বৃহত্তর জোট ওপেক প্লাসের কাছে নালিশ করেছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রমাণিত তেল মজুত (২০২৩ সালে ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল) থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলা ২০২৩ সালে মাত্র ৪.০৫ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করতে পেরেছে। যা অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের তুলনায় অনেক কম।
ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরবের সঙ্গে ভেনেজুয়েলাও ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওপেক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তেলের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক মূল্য প্রভাবিত করতে এসব দেশ পরবর্তীতে যৌথভাবে কাজ করতে থাকে।
এর আগে মাদুরো সরকার মাদক-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। প্রথমে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এবং হাজারো সেনা মোতায়েন করেন। এরপর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের সংকেত বা মাদুরোর ওপর চাপপ্রয়োগের কৌশল হিসেবে বর্ণনা করছেন।
আকাশসীমা বন্ধের বিষয়টিকে কারাকাস ‘ঔপনিবেশিক হুমকি’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
