অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২৭ অক্টোবর) জাপানে পৌঁছালে তাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেয়া হয়। এটি তার পাঁচ দিনের এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ধাপ, যার মূল লক্ষ্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ও অচলাবস্থা নিরসন। ট্রাম্প সফরের প্রথম ধাপে মালয়েশিয়ায় একাধিক বাণিজ্য ও খনিজসম্পদ চুক্তি সই করেন। তিনি বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই বৃহত্তম অর্থনীতির প্রতিনিধিরা রোববার এক কাঠামোগত সমঝোতা চূড়ান্ত করেছেন-যা আপাতত নতুন শুল্ক আরোপ ও বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিত রাখবে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এশীয় শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা যায়। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে, এবং আমি মনে করি আমরা একটি ভালো সমঝোতায় পৌঁছাব।’
এর আগে, টোকিও পৌঁছালে ট্রাম্পের জন্য কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়। পরে তিনি ইম্পেরিয়াল প্যালেসে গিয়ে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে করমর্দন ও আলোকচিত্রে অংশ নেন।
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ট্রাম্পের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিকআপ ট্রাক, সয়াবিন ও গ্যাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিতে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে জাপানের কাছ থেকে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক শিথিলের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘জাপানে ট্রাম্পের সফর কেবল বাণিজ্য নয়, নিরাপত্তা জোটকেও নতুন মাত্রা দিচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বাজেট বাস্তবায়নে তার সরকার গতি আনবে।
ট্রাম্প বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন-যা এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
