অনলাইন ডেস্ক : ইরানে দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়া নারীরা অংশ নেওয়ায় দুই ম্যারাথন আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী হিজাববিহীন অবস্থায় দৌড়াচ্ছেন। এ ঘটনার পর ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
ইরানের মিজান নিউজ ওয়েবসাইট জানায়, প্রতিযোগিতার দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের একজন কিশ ফ্রি জোনের কর্মকর্তা, অন্যজন দৌড়ের আয়োজন করা একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মী। স্থানীয় প্রসিকিউটর বলেন, দেশের বর্তমান আইন, ধর্মীয় নিয়ম ও প্রথাগত বিধান মানার বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, তারপরও প্রতিযোগিতাটি জনসাধারণের মর্যাদা লঙ্ঘন করে আয়োজন করা হয়েছে, তাই ফৌজদারি মামলা নেওয়া হয়েছে।
কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই দৌড়ে প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। দেশটির রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম তাসনিম, ফার্স ইতিমধ্যে এই ম্যারাথনকে অসভ্যতা এবং ইসলামি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক। তবে ২০২২ সালে আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া আন্দোলনের পর থেকে ‘হিজাব পরার নীতি’ অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের পোশাকবিধি আগের অবস্থানে ফেরাতে সরকারি চাপ আবারও বেড়েছে।
ইরানের সংসদের অধিকাংশ সদস্য অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগ হিজাব আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করছে না। এর জবাবে দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেইন মোসেনি এজেই আইনটি অবিলম্বে কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: মিজান নিউজ, ফ্রান্স ২৪
