হাসান আমিন : এয়ার কানাডার কেবিন ক্রুদের প্রায় সবাই গত ৬ই সেপ্টেম্বর, শনিবার সর্বশেষ বেতন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে তাদের ইউনিয়ন জানিয়েছে — যদিও এ সিদ্ধান্ত ফ্লাইট পরিচালনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
গত মাসে ধর্মঘটের অবসান ঘটানো ওই অস্থায়ী চুক্তিতে নবীন কেবিন ক্রুদের জন্য ১২ শতাংশ এবং সিনিয়র সদস্যদের জন্য ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব ছিল, পরবর্তী বছরগুলোতে সীমিত হারে বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে প্রস্তাবে। কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সদস্যদের ৯৯.১ শতাংশ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ এই প্রস্তাবের পরও কেবিন ক্রুরা ফেডারেল ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম বেতনই পাবেন।
সিইউপিই-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি এখন মধ্যস্থতায় রয়েছে এবং প্রয়োজনে সালিশের মাধ্যমে সমাধান হবে।” এয়ার কানাডা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, বিষয়টি এখন মধ্যস্থতাযর পর্যায়ে রয়েছে। এয়ারলাইন জানিয়েছে, “আমাদের যাত্রীরা এ প্রক্রিয়ার সময় যে ধৈর্য ও আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”
এয়ার কানাডা জানায়, “উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে কোনো শ্রম বিরোধ শুরু হবে না, তাই কোনো ধর্মঘট বা লকআউট হবে না এবং ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিকভাবে চলবে।”
গত ১৯শে আগস্ট তিন দিনের কেবিন ক্রু ধর্মঘট ফেডারেল সরকারের মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় শেষ হয়, যা হাজারো যাত্রীর ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল। শনিবার সিইউপিই ফেডারেল সরকারের “অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছে।
ইউনিয়ন জানায়, “আলোচনায় ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ এমন এক ক্ষয়িষ্ণু প্রভাব ফেলেছে, যা উপেক্ষা করা অসম্ভব।” “নিরপেক্ষ থাকার বদলে, সরকার প্রক্রিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করেছে এবং এয়ার কানাডাকে কেবিন ক্রুদের জন্য সীমিত বেতন বৃদ্ধির সুযোগ দিয়েছে।”
শনিবার সন্ধ্যায় চাকরি ও পরিবার মন্ত্রী প্যাটি হাজদুর এক মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, “চুক্তি অনুমোদন ব্যর্থ হলে, উভয় পক্ষ একটি নতুন সমষ্টিগত চুক্তি চূড়ান্ত করতে বাধ্যতামূলক সালিশে যেতে সম্মত হয়েছে।” সূত্র : সিবিসি নিউজ

