অনলাইন ডেস্ক : আবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন সেনাবাহিনী আরেকটি নৌকায় হামলা চালিয়ে। বুধবারের ওই হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথ জানিয়েছেন। এর ফলে ওয়াশিংটনের বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযানে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।
হেগসেথ এক্স-এ ঘোষণা করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
তার পোস্টের সঙ্গে থাকা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি নৌকায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং আগুন লেগে গেছে। মার্কিন সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পূর্ববর্তী ভিডিওগুলোর মতো, নৌকার বিভিন্ন অংশ অস্পষ্ট। ফলে কতজন আরোহী ছিলেন তা যাচাই করা অসম্ভব।
হেগসেথ বলেছেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, অন্য নৌকাগুলোর মতো এই নৌকাটিও অবৈধ মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল।
তারা একটি পরিচিত মাদক পাচারের পথ ধরে চলাচল করছিল এবং মাদক বহন করছিল।’
এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরে চারটি নৌকায় একাধিক হামলায় চালায়। তখন চার নৌকায় থাকা মোট ১৪ জন নিহত হন এবং একজন বেঁচে যায়। এ ঘটনার দুই দিন পর গতকাল বুধবার নতুন করে হামলা চালানো হলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া এই হামলাগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমান, এমনকি হমলাগুলো পাচারকারীদের লক্ষ্য করে করা হলেও। হামলার লক্ষ্যবস্তু মাদক পাচারকারীই ছিল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল, ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাতটি মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েত করা হয়েছে, যার ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এই অঞ্চলে।
ওয়াশিংটন বলছে, তারা মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।
কিন্তু কারাকাস আশঙ্কা করছে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এটি ছদ্মবেশে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বলেছে, মাদুরো একজন মাদক সম্রাট। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
মাদুরো জোর দিয়ে বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো মাদকের চাষ নেই।
সূত্র : এএফপি

