স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৬ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়ার পর থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আরলিং হলান্ডের লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশাম। শুক্রবার ওয়াশিংটনে হওয়া ড্রতে ফ্রান্স ও নরওয়ে একই সঙ্গে চলে আসে সেনেগালসহ শক্তিশালী গ্রুপ ‘আই’-তে।
দশম বলেন, ‘এটা হবে দুর্দান্ত এক দ্বৈরথ। দুই দলে আরও বড় নাম আছে, কিন্তু এমবাপ্পে ও হলান্ড বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত দুই তারকা, আর তারা দু’জনই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।’
নতুন মৌসুম শুরুর পর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের হয়ে ২৪ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল ৩০টি। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের হয়ে ২৪ ম্যাচে হলান্ডের গোল ৩৩।
হলান্ডের গোলেই নরওয়ে ইতালিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করে। আর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হারার পর এবার তৃতীয় শিরোপার খোঁজে নামবে ফ্রান্স।
গ্রুপ ‘আই’-এর শেষ দল যোগ দেবে মার্চে অনুষ্ঠিত আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে-ইরাক, বলিভিয়া অথবা সুরিনাম-এদের যে কেউ।
সেনেগালের সঙ্গে ম্যাচ মানেই স্মৃতি ফেরানো ২০০২ বিশ্বকাপের, যেখানে শিরোপাধারী হিসেবে খেলতে গিয়ে ফ্রান্স প্রথম ম্যাচেই সেনেগালের কাছে হারার ধাক্কায় গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে।
দেশম বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্বকাপের আলাদা গল্প থাকে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এবার যেন সেই গল্পটা সবচেয়ে সুন্দর হয়।’ ১৪ বছর ধরে ফ্রান্সের দায়িত্বে থাকা দেশম এই টুর্নামেন্টের পর কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন।
যদি ফ্রান্স গ্রুপে শীর্ষে থাকে, তাহলে শেষ ৩২-এ তারা মুখোমুখি হবে গ্রুপপর্বের সেরা তৃতীয় স্থানের একটি দলের। তবে শেষ ষোলতে তাদের জার্মানির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
‘ফ্রান্স হিসেবে আমাদের একটা মর্যাদা আছে, তাই প্রত্যাশাও থাকে বেশি। কিন্তু আমাদের শুরু থেকেই সম্মান ও বিনয় দেখাতে হবে। পাহাড়ের চূড়ায় কী আছে সেটা ভাবার আগে ধাপে ধাপে উঠতে হবে। আর প্রথম ধাপগুলোই সবচেয়ে কঠিন।’- যোগ করেন দেশম।

