Friday, December 12, 2025
Friday, December 12, 2025
Home ইন্টারন্যাশনাল ইরানে ফের গ্রেফতার নোবেলজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী

ইরানে ফের গ্রেফতার নোবেলজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে আবারও গ্রেফতার করা হলো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মদীকে। তার সমর্থকরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ইরানে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত এক মানবাধিকার আইনজীবীর স্মরণসভায় গিয়েছিলেন নার্গেস মোহাম্মদী। সেখান থেকেই তাকে ‘হিংস্র ভাবে’ আটক করে ইরানি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদীর সমর্থকরা।

‘নার্গেস ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু মোহাম্মদী নন, তার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘নার্গেস ফাউন্ডেশন’-এর দাবি, এটা মৌলিক স্বাধীনতার উপরে সরাসরি আঘাত।

৫৩ বছর বয়সী এই লড়াকু নেত্রী দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ। অসুস্থতার কারণেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মোহাম্মদীকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের শেষের দিকে তার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ডাক্তাররা তাঁর পায়ের হাড়ে একটি ক্ষত খুঁজে পেয়েছেন। সেটি ক্যান্সার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ভাবে মাত্র ৩ সপ্তাহের জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হলেও, চিকিৎসার কারণে বেশ কয়েকবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। গত নভেম্বরে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করে ওই ক্ষত অপসারণ করা হয়।

তার আগে ২০২২ সালে হৃদরোগের জন্য জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। মোহাম্মদীর সমর্থকদের দাবি ওই অস্ত্রোপচারের আগে একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার। চিকিৎসকদের মতে, তার হাড়ের ক্ষত এবং হৃদরোগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন। চিকিৎসকরা আরও সতর্ক করেছেন, জেলের পরিবেশে ফিরে গেলে তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আসলে জীবনের একটা বড় সময়ই তার কেটেছে কারাগারে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে তাকে জেলে পাঠিয়েছে ইরান সরকার। ১৩ বারেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে, আরও পাঁচ বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে তার সাজার মোট মেয়াদ ৩০ বছরের বেশি।

তার শেষ কারাদণ্ড শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন নিহত এক ব্যক্তির স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার পরে তাকে আটক করেছিল ইরানি পুলিশ। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র বিরুদ্ধে যোগসাজশ এবং ইরান সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগে ১৩ বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, জেল থেকেই সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক চাপ এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে তাকে ফের কুখ্যাত এভিন কারাগারে পাঠালো ইরান সরকার। তাকে কি তার বাকি থাকা কারাদণ্ডের মেয়াদ ভোগ করতে হবে? বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে স্বাভাবিক ভাবেই ইরান সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

RELATED ARTICLES

এবার ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল মেক্সিকো

অনলাইন ডেস্ক : চলতি বছরে ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ভারতের অর্থনীতির বড় একটা অংশ ভয়াবহ...

মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যয়ে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় হিসেবে রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়ে বিস্তৃত একটি প্রতিরক্ষা নীতি বিল পাস করেছে। ৩১২ জন...

পাঁচ বছরের মধ্যেই ন্যাটোতে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া: রুটে

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে বলে সামরিক এই জোটের মহাসচিব মার্ক রুটে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ইরানে ফের গ্রেফতার নোবেলজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে আবারও গ্রেফতার করা হলো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মদীকে। তার সমর্থকরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ইরানে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে...

মাথায় বুলেট, লাইফ সাপোর্টে হাদি: ঢামেক পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদি। তাঁর মাথার ভেতরে থাকা বুলেট এখনও বের করা সম্ভব...

এবার ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল মেক্সিকো

অনলাইন ডেস্ক : চলতি বছরে ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ভারতের অর্থনীতির বড় একটা অংশ ভয়াবহ...

মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যয়ে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় হিসেবে রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়ে বিস্তৃত একটি প্রতিরক্ষা নীতি বিল পাস করেছে। ৩১২ জন...

Recent Comments